গাভী গরম হলে বা ডাকে আসলে ষাঁড় ছাড়া কৃত্রিম ভাবে গাভীর জরায়ুতে উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীজ দেওয়াই কৃত্রিম প্রজনন।
কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা ঃ
উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীজ দিয়ে পাল দিয়ে দ্রæত জাত উন্নয়ন করা যায়।
সঠিক সময়ে গাভীকে পাল দেয়া যায়।
পাল দেওয়ার জন্য বাড়ীতে ষাঁড় রাখার দরকার হয় না বা অন্যের ষাঁড়ের কাছে গাভী নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা থাকেনা।
উন্নত বীজ থেকে উন্নত দো-আঁশলা বাছুর পাওয়া যায়।
বাছুর বকনা হলে দেশী বকনার আগে বয়ঃপ্রাপ্ত হয় এবং তা থেকে ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায় এবং ষাঁড় বাছুর অল্প সময়ে আকারে বড় হয়, ওজন বৃদ্ধি পায় এবং মাংস বেশী পাওয়া যায়।
গাভী যৌন রোগে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
ইচ্ছা করলে প্রজননকারীকে খামারে বা বাড়িতে ডেকে এনে গাভীকে পাল দেওয়া যায়। বার বার পাল দিয়ে গাভী গর্ভবতী না হলে তার কারণ জেনে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
মনে রাখবেন ঃ
সঠিক সময়ে গাভীকে/বকনাকে পাল দিতে হবে।
গাভী গরম বা ডাকে আসার ১২ থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাল দিতে হবে।
কৃত্রিম প্রজনন গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন এর বৈজ্ঞানিক উপায়।
কৃত্রিম প্রজননের কৌশল অবলম্বন করে অনেকেই দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ সুযোগ আপনিও গ্রহণ করুন।
গর্ভাবস্থায় এবং বাচ্চা প্রসবের পর গাভী ও বাছুরের বিশেষ যতœ নিন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস