প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপজেলার প্রাচীন কালে কবি সাহিত্যিকদের রচনাবলীর দ্বারা যেমন আমরা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বার বার ফিরে পাই। তেমনি আধুনিক কালে কবি-সাহিত্যিকদের রচনাবলী দেশের তথা সাহিত্যের বিশ্ব-ইতিহাস অনুসন্ধানে আমাদেরকে অনুপ্রাণীত করে। অতিত ও বর্তমানে এ মহামিলনের মধ্যে সেতু রচনা করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সকল ইতিহাস একদিন বিস্মৃতির অন্ধকারে নিমির্জ্জিত হবে। ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন এ কথা শুধু মুখে বলেই হবে না। সঠিক ইতিহাস রচনার মাধ্যমে তাকে বাচিয়ে রাখতে হবে। বিকৃত ইতিহাসের মধ্যে নয়। মধ্যে যোগের কবিদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেন লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের কবি জীবনকৃঞ্চ মৈত্র। তিনি বাংলা সাহিত্যির ইতিহাসে মনসা মঙ্গলের কবি হিসাবে পরিচিত। জীবন কৃঞ্চ মৈত্রের কাব্যেবের নাম ‘‘ পদ্ম পুরন’’, এতে চাঁদসওদাগর মনসা, বেহুলা লক্ষিদরের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কবিতার বংশ পরিচয় দিয়েছেন এভাবে শ্রী বংশীবদন মৈত্র নাম মহাশয় চৌধুরী অনন্তরায় তাহার তয়ন/অনন্তনন্দন কবি শ্রী মৈত্র জীবন/লাহিড়ীপাড়াতে বরেন্দ্র ব্রাক্ষ্মণ, তিনি পাগল জীবন নামে পরিচিত ছিলেন। নিজস্ব কাব্য প্রতিভার দ্বারা জীবন মৈত্র সাহিত্যিতের ইতিহাসে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। সে গৌরবের অংশিদার এ উপজেলা বাসীও। ডাঃ কহরউল্লাহ পেশায় ছিলেন হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক। তাঁর জন্ম স্থান গোকুলের রামশহরে। তিনি ‘‘মহাস্থান’’ নামে যে ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখেছেন তাতে মহাস্থান গড়ে ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞ্যাত হওয়া যায়। বিটিশ আমলে মধ্যভাগে সদর উপজেলায় বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ প্যারীশঙ্কর দাস গুপ্ত প্রায় ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেন। সামাজিক উপনাস, ধর্মীগ্রন্থ এবং চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ অন্যতম। তিনি ১৯৫৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৩১ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর গ্রন্থ গুলোর নাম আর্য-বিধবা, কমলিনি, ফুল ও মুকুল, প্রতাপসিং, যমুনা, রতœকার, গ্রাসী, কর্ণ, লক্ষী, অর্জুন, প্রহলাদ, উষা, প্রসাদ, গীতা ও কুঠির, কৃঞ্চাশ্রম, সংগ্রামসিং, স্ত্রীশিক্ষা, রাধা চিকিৎসা বই-ওলাওঠা। দত্তবাড়ীর মোড় থেকে নামাজগড় মোড় পর্যন্ত পশ্চিম মূখী রাস্তাটি তাঁর নামানুসারে ডাঃ প্যারীশঙ্কর স্ট্রিট নামে পরিচিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস